কাব্য কথন থেকে আষাঢ়ে বচন,
সবই যেন ভূলোকের আকর্ষণ।
লজ্জাহীনতায় রূপ শিল্পের কি মনন!
আবার আকাশচুম্বী নিরেট স্বপ্নে মহুয়া কানন!
অন্তর্মুখী চাপা জলস্রোত,
বোঝে না কি কষ্টের পীড়ন?
খোঁজেনা কেন অনুতপ্ত? কি বা তার কারণ!
ভয়ে নাকি কষ্টে এই শ্বেত মুখাবরণ,
সে কি তবে জানে না?
তিনিই তো আ’লিম!
খালিক্ব এর ইচ্ছায় আগমন, তার ইচ্ছাতেই তো অঝোরে বর্ষণ!
অন্তর হয়েছে কলুষিত,
মোহর লেগেছে তাতে সুস্পষ্ট,
গতিপথহীন কোন লৌহে সে ভীত!
সত্যের শতাংশ যেখানে বেজায় স্ফীত।
বার্ধক্য এসে গেছে কিন্তু দাগ তো মোছেনি লেগে আছে তাজা ক্ষত।
বলি কি করে? করো ক্ষমা মোরে
পিঠ ঠেকে গেছে দেয়ালে।
মোড়কের প্রচ্ছেদে অনন্তকাল আড়ালে
ডাকি তারে কোথায় সে!
হে রূপ! হে ধনদৌলত! হে ক্ষমতা! হে অহংকার!
কোথায় তোমরা? আজ কোথায় হারালে?
সবই কি ছিল মিথ্যে?
ব্যবচ্ছেদ হয়ে রয়ে গেলে মরীচিকাময় জীবন জালে!